শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৬

পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০

পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০
( ২০১০ সনের ৫৬ নং আইন )
 []
   
 
যেহেতু পরিবেশ সংক্রান্ত অপরাধের বিচার ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে আদালত প্রতিষ্ঠা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে প্রচলিত আইনের সংশোধন ও সংহতকরণকল্পে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ- 
  
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন 
১। (১) এই আইন পরিবেশ আদালত আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
  
  
 
সংজ্ঞা 
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে -

(ক) ‘‘দেওয়ানী কার্যবিধি’’ অর্থ The Code of Civil Procedure, 1908 (Act V of 1908);

(খ) ‘‘পরিদর্শক’’ অর্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বা মহা-পরিচালকের সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তি বা অন্য কোন পরিবেশ আইনের অধীন পরিদর্শন বা তদন্তের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি;

(গ) ‘‘পরিবেশ আইন’’ অর্থ এই আইন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নং আইন), এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত অন্য কোন আইন, এবং এই সকল আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালা;

(ঘ) ‘‘পরিবেশ আদালত’’ অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত পরিবেশ আদালত;

(ঙ) ‘‘পরিবেশ আপীল আদালত’’ অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত পরিবেশ আপীল আদালত;

(চ) ‘‘ফৌজদারী কার্যবিধি’’ অর্থ The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);

(ছ) ‘‘মহা-পরিচালক’’ অর্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক;

(জ) ‘‘স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট’’ অর্থ ধারা ৫(২) এর অধীন নিযুক্ত স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট;

(ঝ) ‘‘স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত’’ অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত কোন স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত।
  
  
 
আইনের প্রাধান্য 
৩। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধান প্রাধান্য পাইবে।
  
  
 
পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠা 
৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক জেলায় এক বা একাধিক পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে।

(২) একজন বিচারক সমন্বয়ে পরিবেশ আদালত গঠিত হইবে এবং সরকার, সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে, যুগ্ম-জেলা জজ পর্যায়ের একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে উক্ত আদালতের বিচারক নিযুক্ত করিবে এবং উক্ত বিচারক তাহার সাধারণ এখতিয়ারভুক্ত মামলা ছাড়াও পরিবেশ আদালতের এখতিয়ারভুক্ত মামলাসমূহের বিচার করিবেন।

(৩) প্রত্যেক পরিবেশ আদালত জেলা সদরে অবস্থিত থাকিবেঃ

তবে সরকার প্রয়োজন মনে করিলে সরকারী গেজেটে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উক্ত আদালতের বিচারকার্যের স্থানসমূহ প্রশাসনিক জেলার যে কোন স্থানে নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(৪) কোন জেলায় একাধিক পরিবেশ আদালত স্থাপিত হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক পরিবেশ আদালতের জন্য এলাকা নির্ধারণ করিয়া দিবে।
  
  
 
স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত প্রতিষ্ঠা 
৫। (১) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক জেলায় এক বা একাধিক স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে।

(২) পরিবেশ আইনে বর্ণিত সকল অপরাধের মামলা বিচারের জন্য সরকার, সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে, কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট বা ১ম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটকে কোন নির্দিষ্ট এলাকার জন্য এককভাবে বা তাহার সাধারণ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেটরূপে নিয়োগ দান করিতে পারিবে। 
  
  
 
স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের এখতিয়ার 
৬। (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিবেশ আইনে বর্ণিত সকল অপরাধের বিচারের জন্য মহা-পরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সরাসরি মামলা দায়ের করিতে পারিবেন অথবা ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে থানায় এজাহার দায়ের করিতে পারিবেন।

(২) স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন অপরাধসহ পরিবেশ আইনে বর্ণিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ড আরোপ, উক্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা উহার অংশবিশেষ, যানবাহন বা অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট পণ্যসামগ্রী বা বস্তু বাজেয়াপ্ত বা বিলিবন্দেজ করার আদেশ এবং যথাযথ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের জন্য আদেশ বা ডিক্রি প্রদান করিতে পারিবে; এবং এতদ্ব্যতীত উক্ত আদালত সংশ্লিষ্ট অপরাধ বা ঘটনার পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে একই রায়ে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ--

(ক) যে কাজ করা বা না করার কারণে অপরাধটি সংঘটিত হইয়াছে, উহার পুনরাবৃত্তি না করা বা অব্যাহত না রাখার জন্য অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান;

(খ) উক্ত অপরাধ বা ঘটনার কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হইয়াছে বা হইতে পারে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি অনুসারে আদালতের বিবেচনামত উপযুক্ত প্রতিরোধমূলক বা সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত ব্যক্তিকে বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান;

(গ) দফা (খ) এর অধীন কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদানের ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ এবং মহা-পরিচালক বা অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত নির্দেশ বাস্তবায়নের রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ প্রদানঃ

তবে শর্ত থাকে যে, দফা (খ) বা (গ) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পুনঃবিবেচনার জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি রায় প্রদানের তারিখের অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আবেদন করিতে পারিবেন এবং মহা-পরিচালককে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়া এইরূপ আবেদন আদালত পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে।

(৩) পরিদর্শকের লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকে কোন স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে নাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন আবেদনের ভিত্তিতে স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি উহার ভিত্তিতে পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেন নাই অথবা উক্ত অভিযোগ গ্রহণের যৌক্তিকতা আছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা মহা-পরিচালককে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়া উক্তরূপ লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকেই সরাসরি উক্ত অভিযোগ এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিতে বা যথাযথ মনে করিলে অভিযোগ সম্পর্কে তদন্তের জন্য উক্ত পরিদর্শককে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
  
  
 
পরিবেশ আদালতের এখতিয়ার 
৭। (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিবেশ আইনের অধীন অপরাধসমূহ বিচারের জন্য স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট হইতে প্রাপ্ত মামলাসমূহ এই আইনের বিধান অনুসারে পরিবেশ আদালত কর্তৃক বিচার ও নিষ্পত্তি হইবে।

(২) পরিবেশ আইনের অধীন ক্ষতিপূরণ লাভের জন্য এই আইনের বিধান অনুসারে পরিবেশ আদালতে সরাসরি মামলা করিতে হইবে এবং তাহা উক্ত আদালতে বিচারার্থ গ্রহণ, বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণসহ উহার বিচার ও নিষ্পত্তি হইবে।

(৩) পরিবেশ আদালত এই আইনের ধারা ৮(২) এর অধীন অপরাধসহ পরিবেশ আইনে বর্ণিত অপরাধের জন্য নির্ধারিত দন্ড আরোপ, উক্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা উহার অংশবিশেষ, যানবাহন বা অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট পণ্যসামগ্রী বা বস্তু বাজেয়াপ্ত বা বিলিবন্দেজ করার আদেশ এবং যথাযথ ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের জন্য আদেশ বা ডিক্রি প্রদান করিতে পারিবে; এবং এতদ্ব্যতীত উক্ত আদালত সংশ্লিষ্ট অপরাধ বা ঘটনার পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে একই রায়ে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন আদেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ --

(ক) যে কাজ করা বা না করার কারণে অপরাধটি সংঘটিত হইয়াছে, উহার পুনরাবৃত্তি না করা বা অব্যাহত না রাখার জন্য অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান;

(খ) উক্ত অপরাধ বা ঘটনার কারণে পরিবেশের যে ক্ষতি হইয়াছে বা হইতে পারে সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি অনুসারে আদালতের বিবেচনামত উপযুক্ত প্রতিরোধমূলক বা সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত ব্যক্তিকে বা সংশ্লিষ্ট অন্য কোন ব্যক্তিকে নির্দেশ প্রদান;

(গ) দফা (খ) এর অধীন কোন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদানের ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ এবং মহা-পরিচালক বা অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত নির্দেশ বাস্তবায়নের রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ প্রদানঃ

তবে শর্ত থাকে যে, দফা (খ) বা (গ) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পুনঃবিবেচনার জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি রায় প্রদানের তারিখের অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আবেদন করিতে পারিবেন এবং মহা-পরিচালককে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়া এইরূপ আবেদন আদালত পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে।

(৪) পরিদর্শকের লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকে কোন পরিবেশ আদালত পরিবেশ আইনের অধীন কোন ক্ষতিপূরণের দাবী বিচারার্থ গ্রহণ করিবেনাঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন আবেদনের ভিত্তিতে পরিবেশ আদালত যদি এই মর্মে সন্তষ্ট হয় যে, সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক কোন ক্ষতিপূরণের দাবী গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি উহার ভিত্তিতে পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেন নাই এবং উক্ত অভিযোগ বা দাবী বিচারের জন্য গ্রহণের যৌক্তিকতা আছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা মহা-পরিচালককে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়া উক্তরূপ লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকেই সরাসরি উক্ত ক্ষতিপূরণের দাবী বিচারার্থ গ্রহণ করিতে বা যথাযথ মনে করিলে দাবী সম্পর্কে তদন্তের জন্য উক্ত পরিদর্শককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
  
  
 
আদালতের নির্দেশ অমান্যকরণ, ইত্যাদির দন্ড 
৮। (১) কোন ব্যক্তি ধারা ৬(২) এর অধীন--

(ক) স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ অমান্য করিয়া যে অপরাধের পুনরাবৃত্তি করেন বা যে অপরাধটি অব্যাহত রাখেন, উহার জন্য নির্ধারিত দন্ডে তিনি দন্ডনীয় হইবেন, তবে এইরূপ দন্ড উক্ত নির্দেশ প্রদানের সময় আরোপিত দন্ড অপেক্ষা কম হইবে না;

(খ) স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ অমান্য করিলে, ইহা হইবে একটি স্বতন্ত্র অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।

(২) কোন ব্যক্তি ধারা ৭(৩) এর--

(ক) দফা (ক) এর অধীন আদালত প্রদত্ত নির্দেশ অমান্য করিয়া যে অপরাধের পুনরাবৃত্তি করেন বা যে অপরাধটি অব্যাহত রাখেন, উহার জন্য নির্ধারিত দন্ডে তিনি দন্ডনীয় হইবেন, তবে এইরূপ দন্ড উক্ত নির্দেশ প্রদানের সময় আরোপিত দন্ড অপেক্ষা কম হইবে না;

(খ) দফা (খ) বা (গ) এর অধীন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ ভঙ্গ করিলে, ইহা হইবে একটি স্বতন্ত্র অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
  
  
 
স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক অপরাধের বিচার 
৯। (১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৫ এর উপ-ধারা (২) অনুযায়ী নিযুক্ত স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট অনধিক ৫ (পাঁচ) বছর কারাদন্ড বা, অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড বা কোন কিছু বাজেয়াপ্ত বা বিনষ্ট বা বিলিবন্দেজ করার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন।

(২) যদি পরিবেশ আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা সমীচীন সেইক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্য আইনের অপরাধটি ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইলে পরিবেশ আইন বহির্ভূত অপরাধও একই সঙ্গে একই মামলায় স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে এবং অন্য আইনের অপরাধটি অন্য কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার্য হইলে স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট মামলাটি সংশ্লিষ্ট আদালত বা ট্রাইব্যুনাল সমীপে প্রেরণ করিবেন।
  
  
 
স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচার পদ্ধতি 
১০। (১) স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তলব অনুসারে উপস্থিত কোন মামলার সাক্ষীকে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ ব্যতিরেকে ফেরত বা ছাড়িয়া দেওয়া যাইবে নাঃ

তবে, আদালতের সাধারণ দৈনিক কর্মসময় শেষ হওয়ার প্রাক্কালে যে মামলার শুনানী বা সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়, কর্মসময় শেষ হওয়ার পরও উক্ত মামলার শুনানী বা সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান থাকিতে পারিবে।

(২) অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হইলে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বিচারকার্য সমাপ্ত না হওয়ার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উল্লিখিত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিবেশ আপীল আদালতকে অবহিত করিবে এবং উক্ত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে, তবে বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কোন মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন না হইলে বর্ধিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মামলা অন্য স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তর করার জন্য মহা-পরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা আইনজীবী পরিবেশ আপীল আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবেন এবং এইরূপ দরখাস্তের ভিত্তিতে পরিবেশ আপীল আদালত সংশ্লিষ্ট মামলা স্থানান্তরের আদেশ দিতে পারিবে।

(৪) উপ-ধারা (৩) অনুসারে কোনো মামলা যে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তর করা হইবে সেই আদালত কর্তৃক উক্ত মামলার বিচার নতুন করিয়া শুরু করিতে হইবে না, বরং পূর্ববর্তী স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত যে পর্যন্ত কার্য সম্পাদন করিয়াছে তাহার পর হইতে অবশিষ্ট কার্য সম্পাদন করিবে এবং মামলা নথি প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করিবে।

(৫) উপ-ধারা (২), (৩) ও (৪) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচার সম্পন্ন না হইলে সেইজন্য কে বা কাহারা দায়ী তাহা পরিবেশ আপীল আদালত সংশ্লিষ্ট সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে তদন্ত করিয়া বা করাইয়া নির্ণয় করিবে এবং তদভিত্তিতে দায়ী ব্যক্তির বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমীপে সুপারিশ প্রেরণ করিবে এবং উক্ত সুপারিশের ভিত্তিতে গৃহীত কার্যক্রম ও ফলাফল উক্ত সুপারিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন আকারে পরিবেশ আপীল আদালতে দাখিল করিবে।
  
  
 
প্রবেশ, আটক, ইত্যাদির ক্ষমতা 
১১। (১) পরিবেশ আইনে বর্ণিত কোন বিষয় পরিদর্শন বা কোন অপরাধ তদন্তের উদ্দেশ্যে, মহা-পরিচালক বা পরিবেশ আদালত কর্তৃক নির্দেশিত হইলে এই আইনের অধীন প্রদেয় ক্ষতিপূরণ নিরূপণের উদ্দেশ্যে, পরিদর্শক যে কোন সময়ে যে কোন স্থানে প্রবেশ, তল্লাশি বা কোন কিছু আটক বা কোন কিছুর নমুনা সংগ্রহ বা কোন স্থান পরিদর্শন করিতে পারিবেন।

(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে উক্ত পরিদর্শক প্রয়োজনবোধে ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে পরিবেশ আদালত বা যে কোন স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট তল্লাশি পরওয়ানা ইস্যুর জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।

(৩) এই ধারার অধীন তল্লাশি, আটক বা পরিদর্শনের ক্ষেত্রে পরিদর্শক ফৌজদারী কার্যবিধি এবং সংশ্লিষ্ট পরিবেশ আইন ও বিধিমালার বিধান অনুসরণ করিবেন।
  
  
 
অপরাধের অনুসন্ধান, মামলা দায়ের এবং তদমত্ম পদ্ধতি 
১২। (১) পরিবেশ আইনে বর্ণিত কোন অপরাধ সংক্রান্ত বিষয় সাধারণভাবে একজন পরিদর্শক অনুসন্ধান করিবেন, তবে কোন বিশেষ ধরনের অপরাধ বা কোন নির্দিষ্ট অপরাধ সংক্রান্ত বিষয় অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে মহা-পরিচালক, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, তাহার অধীনস্থ অন্য কোন কর্মকর্তাকেও ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবেন।

(২) উক্ত পরিদর্শক বা কর্মকর্তা, অতঃপর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বলিয়া উল্লিখিত, কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ বা অন্য যে কোন তথ্যের ভিত্তিতে, মহা-পরিচালকের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণক্রমে, এই ধারার অধীন কার্যক্রম শুরু করিতে পারিবেন।

(৩) কোন অপরাধের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করার পূর্বে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা উক্ত অপরাধ সম্পর্কে অনুসন্ধান ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতঃ একটি প্রাথমিক রিপোর্ট এতদুদ্দেশ্যে মহা-পরিচালক কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত তাঁহার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট পেশ করিবেন এবং দ্বিতীয়োক্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ঘটনা ও পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে, ৭ (সাত) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন যে, বিষয়টি সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করা অথবা সংশ্লিষ্ট পরিবেশ আইন বা এই আইন বা সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুসারে অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা আদৌ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করা সমীচীন কি না এবং তদনুসারে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হইবে।

(৪) উপ-ধারা (৩) অনুসারে আনুষ্ঠানিক তদন্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে একটি এজাহার সংশ্লিষ্ট থানায় পেশ করিবেন যাহা অপরাধ সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য হিসাবে থানায় লিপিবদ্ধ করা হইবে এবং অতঃপর উক্ত অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা বা ক্ষেত্রমত, মহা-পরিচালক-এর নিকট হইতে বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্মকর্তা তদন্ত করিবেন এবং তিনি সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলিয়া গণ্য হইবেন।

(৫) কোন অপরাধ তদন্তের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান অনুসারে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে থানার একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ন্যায় একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং তিনি, এই আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সাপেক্ষে, ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসরণ করিবেন।

(৬) আনুষ্ঠানিক তদন্তের পূর্বে অনুসন্ধান পর্যায়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক রেকর্ডকৃত জবানবন্দী, আটককৃত বস্তু, সংগৃহীত নমুনা বা অন্যান্য তথ্য আনুষ্ঠানিক তদন্তের প্রয়োজনে বিবেচনা ও ব্যবহার করা যাইবে।

(৭) তদন্ত সমাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা, মহা-পরিচালকের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুমোদন গ্রহণক্রমে, তাহার তদন্ত রিপোর্টের মূল কপি এবং উক্ত রিপোর্টের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট মূল কাগজপত্র বা উহার সত্যায়িত অনুলিপি সরাসরি পরিবেশ আদালত বা ক্ষেত্রমত, স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দাখিল করিবেন এবং একটি অনুলিপি তাহার দপ্তরে এবং আরেকটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট থানায় জমা করিবেন এবং এইরূপ রিপোর্ট ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৭৩ এর অধীন প্রদত্ত পুলিশ রিপোর্ট বলিয়া গণ্য হইবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন দলিলপত্রের মূল কপি আদালতে দাখিল করা সম্ভব না হইলে তাহার বিস্তারিত ব্যাখ্যা রিপোর্টের সহিত আদালতে দাখিল করিতে হইবে।

(৮) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সত্বেও, অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট অপরাধ ও পরিস্থিতির প্রয়োজনে, উক্ত উপ-ধারার অধীন আনুষ্ঠানিক তদন্তের সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির পূর্বে অনুসন্ধান বা ক্ষেত্রমত, তদন্তকালে অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট দলিল, বস্তু বা যন্ত্রপাতি আটক করিতে পারিবেন যদি যুক্তিসংগত কারণে তিনি মনে করেন যে, উহা সরাইয়া ফেলা বা নষ্ট করা হইতে পারে।

(৯) যদি পরিবেশ আইন এর অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, পূর্ণাঙ্গ ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের তদন্ত ও বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা সমীচীন, তাহা হইলে পরিবেশ আইন এর অধীন অপরাধের সহিত জড়িত পরিবেশ আইন বহির্ভূত অপরাধও উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্তযোগ্য হইবে।

(১০) পরিবেশ আইনে বর্ণিত অপরাধ সংক্রান্ত অনুসন্ধান, মামলা দায়ের এবং তদন্ত করিয়া প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য সরকার পরিবেশ অধিদপ্তর বহির্ভূত অন্য কোন কর্মকর্তাকে বা কোন শ্রেণীর কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে পরিবে।

(১১) স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক মোবাইল কোর্ট অনুষ্ঠানকালে পরিদর্শক বা এতদুদ্দেশ্যে মহা-পরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এই ধারায় বর্ণিত আনুষ্ঠানিকতা ব্যতিরেকে, পরিবেশ আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে মর্মে অভিযোগ সরাসরি স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট এর নিকট দায়ের করিতে পারিবেন এবং উহার ভিত্তিতে স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট সংশ্লিষ্ট অপরাধ আমলে লইতে ও উহার বিচার করিতে অথবা ক্ষেত্রমত, বিচারার্থ প্রেরণ করিতে পারিবেন।
  
  
 
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ 
১৩। ধারা ১২ ও ১৩ এর উদ্দেশ্যপূরণকল্পে অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী কর্মকর্তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য কোন সরকারী কর্তৃপক্ষ বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার সহায়তার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং তদনুসারে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা সহায়তা করিবে।
  
  
 
পরিবেশ আদালতের কার্যপদ্ধতি ও ক্ষমতা 
১৪। (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের ও বিচার নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে এবং পরিবেশ আদালত একটি ফৌজদারী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং ফৌজদারী কার্যবিধিতে দায়রা আদালত কর্তৃক কোন মামলা নিষ্পত্তির জন্য যে পদ্ধতি নির্ধারিত আছে পরিবেশ আদালত সেই পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া মামলা বিচারার্থ গ্রহণ, বিচার ও নিষ্পত্তি করিবে।

(২) পরিবেশ আদালত উহার নিকট বিচারাধীন কোন মামলা সংক্রান্ত অপরাধ সম্পর্কে অধিকতর তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বা ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত নির্দেশে তদন্তের প্রতিবেদন প্রদানের জন্য সময়সীমাও নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে।

(৩) এই আইন বা পরিবেশ আইন দ্বারা ন্যস্ত যে কোন ক্ষমতা পরিবেশ আদালত প্রয়োগ করিতে পারিবে।

(৪) পরিবেশ আদালতে বিচার্য সকল মামলা মহা-পরিচালক কর্তৃক নিয়োজিত আইনজীবী পরিচালনা করিবেন এবং উক্তরূপে নিয়োজিত আইনজীবী অপরাধের মামলার ক্ষেত্রে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর ও দেওয়ানী প্রকৃতির মামলার ক্ষেত্রে বিশেষ সরকারী কৌঁশুলী বলিয়া গণ্য হইবেনঃ

তবে শর্ত থাকে যে, পরিদর্শক বা মহা-পরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা মামলা পরিচালনায় উক্ত আইনজীবীকে সহায়তা করিতে এবং প্রয়োজনবোধে আদালতে তাঁহার বক্তব্য উপস্থাপন করিতে পারিবেন।

(৫) যদি পরিবেশ আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা সমীচীন তাহা হইলে পরিবেশ আইন বহির্ভূত অপরাধও একই সঙ্গে একই মামলায় পরিবেশ আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে।

(৬) ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলা বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, দেওয়ানী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে এবং সেই ক্ষেত্রে পরিবেশ আদালত একটি দেওয়ানী আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন কোন ক্ষতিপূরণের মামলা বিচারের ক্ষেত্রে দেওয়ানী আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।

(৭) পরিবেশ আদালতের তলব অনুসারে উপস্থিত কোন মামলার সাক্ষীকে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ ব্যতিরেকে ফেরত বা ছাড়িয়া দেওয়া যাইবে না, তবে আদালতের সাধারণ দৈনিক কর্মসময় শেষ হওয়ার প্রাক্কালে যে মামলার শুনানী বা সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়, কর্মসময় শেষ হওয়ার পরও উক্ত মামলার শুনানী বা সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান থাকিতে পারিবে।

(৮) অপরাধের মামলার ক্ষেত্রে অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে এবং ক্ষতিপূরণ দাবীর মামলায় ইস্যু নির্ধারণের তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে পরিবেশ আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে।

(৯) উপ-ধারা (৮) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হইলে পরিবেশ আদালত, বিচারকার্য সমাপ্ত না হওয়ার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উল্লিখিত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে বিষয়টি পরিবেশ আপীল আদালতকে অবহিত করিবে এবং উক্ত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবেঃ

তবে, বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কোন মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন না হইলে বর্ধিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মামলা অন্য পরিবেশ আদালতে স্থানান্তর করার জন্য মহা-পরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা আইনজীবী পরিবেশ আপীল আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবেন এবং এইরূপ দরখাস্তের ভিত্তিতে পরিবেশ আপীল আদালত সংশ্লিষ্ট মামলা স্থানান্তরের আদেশ দিতে পারিবে।

(১০) উপ-ধারা (৯) অনুসারে কোনো মামলা যে পরিবেশ আদালতে স্থানান্তর করা হইবে সেই আদালত কর্তৃক উক্ত মামলার বিচার নতুন করিয়া শুরু করিতে হইবে না, বরং পূর্ববর্তী পরিবেশ আদালত যে পর্যন্ত কার্য সম্পাদন করিয়াছেন তাহার পর হইতে অবশিষ্ট কার্য সম্পাদন করিবেন এবং মামলার নথি প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করিবে।

(১১) উপ-ধারা (৮), (৯) ও (১০) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচার সম্পন্ন না হইলে সেইজন্য কে বা কাহারা দায়ী তাহা পরিবেশ আপীল আদালত সংশ্লিষ্ট সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে তদন্ত করিয়া বা করাইয়া নির্ণয় করিবে এবং তদ্‌ভিত্তিতে দায়ী ব্যক্তির বিরূদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমীপে সুপারিশ প্রেরণ করিবে।

(১২) উপ-ধারা (১১) এ উল্লিখিত সুপারিশের ভিত্তিতে গৃহীত কার্যক্রম ও ফলাফল উক্ত সুপারিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন আকারে পরিবেশ আপীল আদালতে দাখিল করিবে।
  
  
 
অর্থদন্ড হইতে খরচ বা ক্ষতিপূরণ প্রদানের ক্ষমতা 
১৫। (১) স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত অথবা পরিবেশ আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপিত অর্থদন্ড আদায় করিয়া তাহা হইতে সংশ্লিষ্ট মামলা পরিচালনায় প্রসিকিউশন পক্ষ কর্তৃক ব্যয়িত অর্থ পরিশোধ করার জন্য বা ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট মামলায় বিচার্য অপরাধ সংঘটিত হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট রায়ে আদেশ প্রদান করা যাইবে।

(২) পরিবেশ আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত ক্ষতিপূরণের দাবী এমনভাবে জড়িত থাকে যে, অপরাধ ও ক্ষতিপূরণের দাবী একই মামলায় বিচার করা প্রয়োজন, তাহা হইলে পরিবেশ আদালত অপরাধটির বিচার পূর্বে করিবে এবং অপরাধের দন্ড হিসাবে ক্ষতিপূরণ প্রদান যথাযথ বা পর্যাপ্ত না হইলে পৃথকভাবে ক্ষতিপূরণের আবেদন বিবেচনা করিতে পারিবে।
  
  
 
অর্থদন্ড আদায়ের পদ্ধতি 
১৬। স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত বা পরিবেশ আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপিত অর্থদন্ড বা ক্ষতিপূরণ বা উক্ত আদালত কর্তৃক মামলার যে কোন পক্ষের উপর অর্থদন্ড বা ক্ষতিপূরণ ব্যতীত অন্য কোন বাবদ ধার্য্যকৃত টাকা ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৮৬ এবং ৩৮৭ এর বিধান অনুসারে আদায়যোগ্য হইবে।
  
  
 
পরিবেশ আদালত কর্তৃক পরিদর্শনের ক্ষমতা 
১৭। (১) মামলার যে কোন পর্যায়ে কোন সম্পত্তি, বস্তু বা অপরাধ সংঘটনের স্থান সম্পর্কে কোন প্রশ্নের উদ্ভব হইলে পরিবেশ আদালত, পক্ষগণকে বা তাহাদের নিযুক্ত আইনজীবীকে, পরিদর্শনের সময় ও স্থান নির্ধারণপূর্বক যথাযথ নোটিশ প্রদান করিয়া, তাহা পরিদর্শন করিতে পারিবে।

(২) পরিদর্শনের সময় বা অব্যবহিত পরে, বিচারক পরিদর্শনের ফলাফল একটি স্মারকলিপি আকারে প্রস্তুত করিবেন এবং উক্ত স্মারকলিপি মামলার শুনানীর সময় সাক্ষ্য হিসাবে বিবেচনাযোগ্য হইবে।
  
  
 
আপোস মীমাংসা 
১৮। (১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নং আইন) এর কতিপয় অপরাধ মহা-পরিচালকের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে, নিম্নরূপ পদ্ধতিতে আপোস মীমাংসা করা যাইবে, যথাঃ-

(ক) উক্ত আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (২) বা (৩) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ অমান্যকরণের ফলে সংঘটিত প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্দেশ তামিল করিয়া তামিল প্রতিবেদন দাখিল এবং ন্যুনতম ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ করিলে;

(খ) উক্ত আইনের ধারা ৫ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসাবে ঘোষিত এলাকায় নিষিদ্ধ কর্ম বা প্রক্রিয়া চালু রাখা বা শুরুর মাধ্যমে উপ-ধারা (৪) এর লংঘনের ফলে সংঘটিত প্রথমবার অপরাধের ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ কর্ম বা প্রক্রিয়া স্থায়ীভাবে বন্ধ করিয়া তাহা পুনরায় চালু করা হইবে না মর্মে অংগীকারনামা দাখিল এবং ন্যুনতম ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা পরিশোধ করিলে;

(গ) মহা-পরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্ষেত্রমত দফা (ক) বা (খ) এ উল্লিখিত তামিল প্রতিবেদন বা অংগীকারনামা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হইয়া সংশ্লিষ্ট মামলা আপোসে নিষ্পত্তি হইয়াছে বলিয়া ক্ষেত্রমত তামিল প্রতিবেদন বা অংগীকারনামা দাখিল ও জরিমানা পরিশোধের তারিখ, যেইটি পরে হয়, হইতে ০৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করিলে।

(২) মামলা রুজু হওয়ার পর তদন্তকালে, অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুতিকালে, বিচার চলাকালে এবং আপীল বা রিভিশন চলাকালেও উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত আপোস মীমাংসা করা যাইবে।

(৩) মহা-পরিচালক কর্তৃক কোন মামলায় আপোস মীমাংসা প্রতিবেদন দাখিল করিলে তাহা গ্রহণ করিয়া সংশ্লিষ্ট আদালত বা ক্ষেত্রমত আপীল আদালত সংশ্লিষ্ট মামলা যে অবস্থায় থাকে সেই অবস্থায় উহার সমাপ্তি ঘোষণা করিবে এবং আসামী আটক থাকিলে তাহাকে মুক্তি দিবে, জামিনে থাকা আসামীকে জামিনের দায় হইতে অব্যাহতি দিবে এবং পরোয়ানাধীন আসামীর পরোয়ানা বাতিল ঘোষণা করিয়া ফেরৎ তলব করিবে।
  
  
 
আপীল 
১৯। (১) দেওয়ানী কার্যবিধি বা ফৌজদারী কার্যবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী ব্যতীত পরিবেশ আদালতের কার্যধারা, আদেশ, রায়, ক্ষতিপূরণের ডিক্রি ও আরোপিত দন্ড সম্পর্কে কোন আদালত বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

(২) পরিবেশ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়, ক্ষতিপূরণের ডিক্রি বা আরোপিত দন্ডের দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ, উক্ত রায়, ক্ষতিপূরণের ডিক্রি বা দন্ডাদেশ, খালাস আদেশ বা কোন দেওয়ানী মামলা খারিজের আদেশ বা উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত আদেশ প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে ধারা ২০ এর অধীন গঠিত পরিবেশ আপীল আদালতে আপীল করিতে পারিবেন।

(৩) পরিবেশ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত অন্তর্বর্তী বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ, স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ, জামিন মঞ্জুর করা বা না করার আদেশ, চার্জ গঠন বা ডিসচার্জ এর আদেশ এবং কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করা বা না করার আদেশের বিরুদ্ধে পরিবেশ আপীল আদালতে আপীল বা রিভিশন দায়ের করা যাইবে এবং অন্য কোন অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে পরিবেশ আপীল আদালতে বা অন্য কোন আদালতে আপীল বা উহার বৈধতা বা যথার্থতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

(৪) স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত দন্ডাদেশ, খালাস আদেশ, জামিন মঞ্জুর বা না-মঞ্জুর করার আদেশ, চার্জ গঠন বা ডিসচার্জ করার আদেশ এবং কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করা বা না করার আদেশের বিরুদ্ধে পরিবেশ আপীল আদালতে আপীল বা রিভিশন দায়ের করা যাইবে, অন্য কোন আদেশের বিরুদ্ধে পরিবেশ আপীল আদালতে বা অন্য কোন আদালতে আপীল বা উহার বৈধতা বা যথার্থতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

(৫) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলার উপর পরিবেশ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা ডিক্রির বিরূদ্ধে সংক্ষুব্ধ পক্ষ আপীল দায়ের করিতে ইচ্ছুক হইলে তিনি, ডিক্রিকৃত অর্থের অর্ধেক অর্থ ডিক্রি প্রদানকারী আদালতের নিকট জমা না করিয়া, উক্ত রায় বা ডিক্রির বিরূদ্ধে আপীল করিতে পারিবেন না।
  
  
 
পরিবেশ আপীল আদালত 
২০। (১) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এক বা একাধিক পরিবেশ আপীল আদালত স্থাপন করিবে।

(২) একজন বিচারক সমন্বয়ে পরিবেশ আপীল আদালত গঠিত হইবে এবং সরকার, সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে, --

(ক) জেলাজজ পর্যায়ের একজন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে উক্ত আদালতের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে; অথবা

(খ) প্রয়োজনবোধে কোন নির্দিষ্ট এলাকার জন্য কোন জেলার জেলা ও দায়রা জজকে তাঁহার দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে উক্ত আদালতের দায়িত্ব অর্পণ করিতে পারিবে।

(৩) অপরাধ সংক্রান্ত মামলার আপীল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন দায়রা আদালত আপীল আদালত হিসাবে যে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারে, পরিবেশ আপীল আদালত সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।

(৪) ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলার আপীল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে, দেওয়ানী কার্যবিধির অধীন জেলা জজ আদালত আপীল আদালত হিসাবে যে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারে পরিবেশ আপীল আদালত সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।
  
  
 
মামলা স্থানান্তর 
২১। কোন আবেদন বা অন্য কোন তথ্যের ভিত্তিতে পরিবেশ আপীল আদালত--

(ক) উহার অধীনস্থ কোন পরিবেশ আদালতে বিচারাধীন মামলা উহার অধীনস্থ অপর কোন পরিবেশ আদালতে স্থানান্তর বা পুনঃস্থানান্তর করিতে পারিবে; বা

(খ) উহার অধীনস্থ কোন স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন মামলা উহার অধীনস্থ অপর কোন স্পেশাল ম্যাজিষ্ট্রেট বা পরিবেশ আদালতে স্থানান্তর বা পুনঃস্থানান্তর করিতে পারিবে।
  
  
 
বিচারাধীন মামলা 
২২। এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে কোন পরিবেশ আইনের অধীন কোন মামলা কোন আদালতে বিচারাধীন থাকিলে উহা উক্ত আদালতেই এমনভাবে চলিতে থাকিবে যেন এই আইন প্রণীত হয় নাই।
  
  
 
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা 
২৩। সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।
  
  
 
রহিতকরণ ও হেফাজত 
২৪। (১) পরিবেশ আদালত আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ১১ নং আইন) এতদ্বারা রহিত করা হইল।

(২) উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত আইনের অধীন কৃত কাজকর্ম বা গৃহীত ব্যবস্থা, এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন